টানা চারটি ফাইনালে হেরে পঞ্চম ফাইনালে ট্রফির খুঁজে নেমেছিল আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। সেদিন ম্যাচের আগে ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের নানা প্রেরণামূলক কথা শুনিয়েছেন অধিনায়ক। সেদিন অধিনায়কের উদ্দীপনামূলক কথা শুনে আবেগ আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার আলেহান্দ্রো গোমেজ। সম্প্রতি আর্জেন্টিনার দৈনিক লা নাসিওনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেন তিনি।
ব্রাজিলের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার ফাইনাল জিতে ২৮ বছর পর শিরোপা ঘরে তোলে আর্জেন্টিনা। ঐতিহাসিক সে ফাইনালে না খেলতে পারলেও দলের সঙ্গে ছিলেন সেভিয়ার এই মিডফিল্ডার। তবে দলের সঙ্গে থেকে উপভোগ করেছেন শিরোপা জয়ের উল্লাস। সেদিন মেসির কথায় নাকি তিনি কান্না করে ফেলেছিলেন।
আর্জেন্টিনার সংবাদ মাধ্যম লা নাসিওনকে আলেহান্দ্রো গোমেজ বলেন, ফাইনালের ঠিক আগে তিনি কথাগুলো বলেছিলেন। আসলে, সত্যি বলতে তিনি ঠিক কী কী বলেছিল, তা হুবহু আমি ভুলে গেছি কিন্তু আমি সেই সময় কাঁদছিলাম। তিনি বলছিল নিজেদের চেষ্টা, পরিবার, সাফল্য নিয়ে। তখন একজন বাচ্চার কান্নার মতো আমার গাল বেয়ে অশ্রু ঝরছিল।”
মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন তবুও তিনি সবসময় সাধারণ এবং কোন তারকাখ্যাতি নেই তার মধ্যে জানিয়ে গোমেজ বলেন,
“লিও আমাদের দলের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ এবং নির্ভেজাল মানুষ। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, দলে তিনি একমাত্র ব্যক্তি ও সতীর্থ যার মধ্যে বাকিদের সবার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে। তবে তার নাম মেসি হওয়ায় অনেকেই ধারণা করেন যে, তিনি মনে হয় ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাবেন।”
মেসিকে সেরা অধিনায়ক মানছেন এই আর্জেন্টাইন। বলেন, “তিনি একজন আদর্শ নেতা, সবকিছু বিবেচনা করে তিনি একজন সেরা অধিনায়ক।”
বিশ্বের সবাই মেসিকে প্রয়াত ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা করে। এমন বিষয়ে গোমেজ বলেন, “সবাই সবসময় তাকে ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা করতে চায়। সবাই চায় যে, তিনি যেন মাঠে জোরে কথা বলেন ও লড়াই করেন। কিন্তু লিও আলাদা। তবে মাঠের বাইরে এমনটা প্রয়োজন হলে তিনি তা করতেন।”
মেসি সবসময় অনেক বিষয় সামনে না এনে নিজের ভিতরে চাপা রাখেন। এমন বিষয়ে গোমেজ বলেন, “দলে আসলে যা হয় তা নিয়ে লিও কখনো কোনো বিষয় জনসম্মুখে আনতে চায় না। কখনও তিনি রেগে গেলে বা কাউকে কিছু বলার প্রয়োজন হলে তাকে তিনি বলবেন, কিন্তু তা সবসময় নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
আর্জেন্টিনার হয়ে সাত ম্যাচ খেলে তিন গোল করেছেন আলেহান্দ্রো গোমেজ।